মাসখানেক আগে এক যুবতীর প্রেমের টানে আমেরিকা থেকে এক যুবক এসেছেন গাজীপুরের ভোগড়ায়। এবার সেই প্রেমের টানে মালয়েশিয়ান নারী এসেছেন গাজীপুর সিটির জোলারপাড় এলাকায়।
বিয়ে করেছেন ধুমধাম করে। মসজিদে অনুষ্ঠিত এই বিয়েতে হাজির হয়ে গ্রামবাসী আনন্দ উল্লাস করেছেন। গোটা এলাকায় তাদের নিয়ে চলছে উৎসবের আমেজ। মালয়েশিয়ার কামপুং কেলেওয়াক এলাকার বাসিন্দা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরে নুরকারমিলা বিনতে হামিদ গত ১৮ই জুলাই প্রেমের টানে ছুটে আসেন প্রেমিক গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে।
এখানে এসে মুগ্ধ তিনি। জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে তার প্রেমে পড়ে। নুরকারমিলার মতে, বাঙালি ছেলে জাহাঙ্গীর খুব ভালো, সৎ ও দায়িত্বশীল। একজন অপরজনকে গভীরভাবে চিনেছেন, জেনেছেন। তাই শুধু সবচেয়ে ভালো বন্ধু না ভেবে, জীবনসঙ্গী করতে এখানে ছুটে এসেছেন। তার নিজের পিতার পরিবারের লোকজনের মতামত নিয়েই এসেছেন এখানে।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিনি মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন ২০১৪ সালে। সেখানে গিয়ে চাকরি করেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। মালয়েশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে নুরকারমিলার সঙ্গে একসঙ্গে চাকরি। তারপর ধীরে ধীরে তাদের দু’জনের ভালোলাগা।
তিন বছর আগে জাহাঙ্গীর আলম এদেশে ফিরলেও করোনাসহ নানা কারণে আর মালয়েশিয়া ফেরা হয়নি। তবু ভালোবাসার টানে মনের মানুষটি এদেশে ছুটে আসলে তার মা, বোন ও স্বজনদের মতামতে গ্রামবাসীকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন উৎসব করে বিয়ে করেছেন।
জাহাঙ্গীর আলমের মা জানান, মেয়েটি যখন বিদেশ থেকে ছেলের টানে চলে এসেছেন, তাই তারা মেনে নিয়েছেন হাসি মুখেই। বিয়ে দিয়েছেন ঘটা করে। বাকিটা জীবন যেন তারা সুখেই থাকে।
উভয়ের পরিবারের সম্মতি, সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিয়ের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় গত শুক্রবার। এখন দু’জনে স্থায়ী সংসার পাততে চান মালয়েশিয়াতে। একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীরের ইচ্ছা তার মাকেও নিয়ে যাবেন সে দেশে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখী হোক আর ভালোবাসার বিয়ের এই বন্ধন আজীবন অটুট থাকুক, এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এলাকাবাসী।